Hands On Review : SYMPHONY H400

সিম্ফোনি প্রতিষ্ঠানটি সম্প্রতি তাদের এইচ সিরিজে যোগ করেছে সিম্ফোনি এইচ৪০০ মডেলের স্মার্টফোনটি যাতে রয়েছে অসাধারণ সব সুবিধা। তবে সব সুবিধা ছাপিয়ে স্পট-লাইট দখল করে নিয়েছে ডিভাইসটির ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সরটি। হ্যাঁ, ডিভাইসটিতে রয়েছে একটি ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার যা ডিভাইসটিকে প্রতিষ্ঠানটির প্রথম ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশিষ্ট স্মার্টফোনে পরিণত করেছে। মাত্র ৯৯৯০ টাকা মূল্যের এই স্মার্টফোনে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর ছাড়াও রয়েছে ২.৫ডি গ্লাস কার্ভড এইচডি ডিসপ্লে, ১৩মেগাপিক্সেল রিয়ার ক্যামেরা সহ আরও চমৎকার সব সুবিধা। চলুন, স্বল্পমূল্যের এই চমৎকার স্মার্টফোনটি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক এই রিভিউটি থেকে।
প্রথমেই চলুন ডিভাইসটির আন-বক্সিং দিয়ে শুরু করা যাক।

আন-বক্সিং 

বরাবরের মতই প্রতিষ্ঠানটি তাদের এই ডিভাইসটিরও প্যাকেজিং করেছে একেবারেই সাদামাটা ভাবে। ডিভাইসটির বক্স খুললেই আপনি পাবেন একটি পলিতে মোড়ানো মূল ডিভাইসটি। এরপর এর নিচেই পাবেন ওয়ারেন্টি কার্ড, একটি বেসিক ইউজার ম্যানুয়াল, একটি হেড-ফোন, একটি চার্জার এবং একটি ডাটা ক্যাবল।

স্পেসিফিকেশন (সংক্ষেপে) 

বিস্তারিত রিভিউ শুরু করার পূর্বে চলুন ডিভাইসটির মূল স্পেসিফিকেশনগুলো সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।

  • ডিসপ্লে - ২.৫ডি কার্ভড গ্লাস বিশিষ্ট ৫ ইঞ্চি আকারের একটি আইপিএস ডিসপ্লে প্যানেল 
  • প্রসেসর - ১.৩ গিগাহার্জ কোয়াড কোর প্রসেসর (৬৪ বিট) 
  • জিপিইউ - মালি টি৭২০ এমপি২ (৪৫০ মেগাহার্জ) 
  • অপারেটিং সিস্টেম - অ্যান্ড্রয়েড মার্শম্যালো ৬.০ 
  • ক্যামেরা - অটো ফোকাস সুবিধাযুক্ত ১৩ মেগাপিক্সেল রিয়ার ক্যামেরা এবং ৫ মেগাপিক্সেল ফিক্সড ফোকাস ফ্রন্ট শুটার
  • র‍্যাম - ২ গিগাবাইট। 
  • স্টোরেজ - ১৬ গিগাবাইট। 
  • ব্যাটারি - ৩২০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার লি-পলি ব্যাটারি। 
  • অন্যান্য - বায়োমেট্রিক সিকিউরিটি অর্থাৎ ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার। 



ডিসপ্লে 

সিম্ফোনি এইচ৪০০ ডিভাইসটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ৭২০x১২৮০ পিক্সেল (৩২০ ডিপিআই) বিশিষ্ট একটি আইপিএস ডিসপ্লে প্যানেল যার কালার রি-প্রোডাকশন বেশ ভালোই। ডিভাইসটির ব্রাইটনেস পরিমিত হওয়ায় সরাসরি সূর্যের নিচেও ব্যবহার করতে কোন রকম সমস্যা হওয়ার কথা না। এছাড়া ডিভাইসটির ভিউয়িং অ্যাঙ্গেলেও আমি কোন নেগেটিভিটি খুঁজে পাইনি। পাশাপাশি সিম্ফোনি এইচ৪০০-তে ২.৫ডি কার্ভড ডিসপ্লে থাকায় ডিভাইসটিকে একটি প্রিমিয়াম ডিভাইস বলেই মনে হয়।

(ছবিটি সরাসরি সূর্যের নিচে তোলা হয়েছে) 

ডিভাইসটিতে ব্যবহার করা হয়েছে মিরাভিশন (MiraVision) প্রযুক্তিটি যার সাহায্যে আপনি সহজেই তিনটি পিকচার মোড থেকে ইচ্ছেমত মোড পছন্দ করে ব্যবহার করতে পারবেন। মোড তিনটি হচ্ছে Standard, Vivid এবং Custom Mode। আপনি যদি কাস্টম মোড ব্যবহার করে থাকেন তবে আপনি আপনার ইচ্ছেমত ডিভাইসটির কালার Contrast, Saturation এবং Picture Brightness-এর ভ্যালুগুলো নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে টিউন করে নিতে পারবেন । ডিভাইসটির ডিসপ্লে প্যানেলের একমাত্র ড্র-ব্যাক হচ্ছে এতে কোন ধরণের গ্লাস প্রোটেকশন ব্যবহার করা হয়নি।


ডিজাইন এবং বিল্ড কোয়ালিটি 

মেটাল পেইন্টেড বডির এই স্মার্টফোনটির বিল্ড কোয়ালিটি এক কথায় অসাধারণ। স্মার্টফোনটি হাতে নিলেই আপনি প্রমিয়াম ফিল পাবেন। ডিভাইসটি দেখতে অনেকটাই আইফোনের আদলে করা হয়েছে তবে অবশ্যই আইফোনের সাথে পুরোপুরি আইডেন্টিক্যাল নয়। সিম্ফোনি এইচ৪০০ ডিভাইসটির সবচাইতে আকর্ষণীয় দিকগুলোর মধ্যে আমার আমাকে সবচাইতে বেশি আকর্ষিত করেছে এর ডিজাইন এবং বিল্ড-কোয়ালিটি। এই মূল্যের খুব কম ডিভাইসই এরকম ডিসেন্ট লুকের হয়ে থাকে।


ডিভাইসটি তৈরি করা হয়েছে  বেশ সাদামাটা ভাবেই। ডিভাইসটির সামনে উপরের দিকে রাখা হয়েছে ফ্রন্ট ফেসিং শুটার, স্পিকার, লাইট সেন্সর এবং প্রক্সিমিটি সেন্সর। সিম্ফোনির এইচ৪০০ ডিভাইসটিতে কোন নোটিফিকেশন লাইট নেই! ডিভাইসটির নিচের দিকটা রাখা হয়েছে একদম ফাঁকা, নেই কোন ক্যাপাসিটিভ টাচ বাটন। বরং প্রতিষ্ঠানটি ডিভাইসটিতে অন-স্ক্রিন ন্যাভিগেশন কী ব্যবহার করেছে।



ডিভাইসটির একদম উপরের অংশে রাখা হয়েছে একটি ৩.৫ মিমি হেড-ফোন ইনপুট জ্যাক। একদম নিচের অংশে আপনারা দেখতে পাবেন মাইক্রোফোন, মাইক্রো ইউএসবি পোর্ট এবং একটি স্পিকার গ্রিল।



সিম্ফোনি এইচ৪০০ ডিভাইসটির বাম দিকে রাখা হয়েছে ভলিউম রকার ও পাওয়ার কী এবং ডান দিক একেবারেই ফাঁকা রাখা হয়েছে।




ডিভাইসটির পেছনের অংশের উপরের দিকে সর্বপ্রথমে রাখা হয়েছে রিয়ার ক্যামেরা এবং ঠিক তার নিচেই এলইডি ফ্ল্যাশ। ফ্ল্যাশের নিচেই আপনারা পাবেন একটি ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর। এছাড়াও ডিভাইসটির পেছনে সিম্ফোনির ব্র্যান্ডিং এবং এর মডেল নম্বর দেখতে পাবেন।


স্মার্টফোনটির ব্যাক-পার্ট আপনি সহজেই খোলা যায় এবং খুললে আপনি একটি নন-রিমোভ্যাল ব্যাটারি, দুটি মাইক্রো সিম-কার্ড স্লট এবং মাইক্রো এসডি কার্ড স্লট দেখতে পাবেন।



সফটওয়্যার

ডিভাইসটিতে ব্যবহার করা হয়েছে অ্যান্ড্রয়েড মার্শম্যালো ৬.০। সিম্ফোনি এইচ৪০০ ডিভাইসটিকে অনেকটাই স্টক অ্যান্ড্রয়েডের মত রাখা হয়েছে এমনকি আপনি একটি-দুটি ছাড়া কোন ব্লটওয়্যারও পাবেন না ডিভাইসটিতে। ডিভাইসটির সফটওয়্যারের কিছু স্ক্রিনশট আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।

(অ্যান্ড্রয়েড মার্শম্যালো ৬.০) 


(প্রায় স্টক-লাইক এক্সপেরিয়েন্স - লঞ্চার,নোটিফিকেশন প্যানেল এবং অ্যাপড্রয়ার) 

প্রসেসর, র‍্যাম, জিপিইউ, স্টোরেজ 

সিম্ফোনি এইচ৪০০ ডিভাইসটিতে ব্যবহার করা হয়েছে একটি ৬৪ বিটের ১.৩ গিগাহার্জ গতি বিশিষ্ট কোয়াড কোর মিডিয়াটেক প্রসেসর। গ্রাফিক্স রেন্ডারের জন্য ডিভাইসটিতে আছে মালি-টি৭২০ এবং মাল্টিটাস্কিং-এর জন্য এতে আপনি পাবেন ২ গিগাবাইট র‍্যাম। স্মার্টফোনটিতে ২ গিগাবাইট র‍্যামের কথা বলা হলেও এতে আপনি পাবেন ১৯২৬ মেগাবাইট র‍্যাম যা বুটের পর প্রায় ৭৫৬ থেকে ৯০০ মেগাবাইট পর্যন্ত খালি পাবেন। এছাড়াও ডিভাইসটিতে রয়েছে মোট ১৬গিগাবাইট অন-বোর্ড স্টোরেজ যার মধ্যে আপনি প্রায় ১০.৫ গিগাবাইটের মত স্পেস ব্যবহার করতে পারবেন। যদি আপনার কাছে এই স্টোরেজ কম মনে হয় তবে জানিয়ে রাখা ভাল যে আপনি এই ডিভাইসটিতে ৬৪ গিগাবাইট পর্যন্ত এক্সটারনাল মেমরি কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন।

ক্যামেরা 

সিম্ফোনি এইচ৪০০ ডিভাইসটিতে দেয়া হয়েছে ১৩ মেগাপিক্সেল রিয়ার ক্যামেরা ইউনিট যা দিনের আলোতে বেশ চমৎকার ছবি তুলতে সক্ষম। রাতে ছবিতে কিছুটা নয়েজের দেখা মেলে এবং ফোকাসিং-এ কিছুটা সময় নিলেও দিনের বেলায় কিন্তু আবার ফোকাসিং এ সময় লাগেনা একেবারেই। ক্যামেরা ইন্টারফেসকেও রাখা হয়েছে একেবারেই সাদা মাটা ঠিক যেমনটি আপনারা অন্যান্য সিম্ফোনি ডিভাইসগুলোতে দেখে থাকেন। তবে ক্যামেরা ইন্টারফেস সাদামাটা হলে আপনি রিয়ার ক্যামেরাতে প্যানারোমা এবং এইচডিআর ও ব্যাক ক্যামেরাতে এইচডিআর ফিচার ব্যবহার করতে পারবেন; এছাড়া কিছু ফিল্টারতো আছেই! আপনাদের জন্য ডিভাইসটির ক্যামেরা দিয়ে তোলা কিছু ছবি সংযুক্ত করে দিচ্ছি।


(বিকেলের আলোতে তোলা ছবি) 

(বিকেলের আলোতে তোলা ছবি) 

(চমৎকার ডিটেইলস প্রমাণ করার জন্যেই ছবিটি দেয়া) 

(শেষ বিকেলের ছবি) 
ডিভাইসটির ফ্রন্ট ক্যামেরা মূল্য অনুপাতে বেশ ভালোই আউটপুট দেয়। ডিভাইসটির ৫ মেগাপিক্সেল ফিক্সড ফোকাস ফ্রন্ট শুটার দিয়ে তোলা একটি ছবি যুক্ত করে দিচ্ছি আপনাদের দেখার সুবিধার্থে।


(ছোট ভাইটি এক্সপেরিমেন্ট করতে পেরে খুবই আনন্দিত!) 

গেমিং পারফর্মেন্স 

গেমটিতে রয়েছে ১.৩ গিগাহার্জ গতি বিশিষ্ট কোয়াড কোর প্রসেসর, মালি টি৭২০ জিপিইউ এবং ২ গিগাবাইট র‍্যাম। খাতা কলমে এই স্পেসিফিকেশনের একটি ডিভাইসে হাই গ্রাফিক্স গেমগুলো খেলতে অসুবিধা হবার কথা নয় এবং আমি যখন ডিভাইসটিতে গেমিং পারফর্মেন্স পরীক্ষা করছিলাম তখন খাতা কলমের হিসেবটাই মিলে গিয়েছে বাস্তবেও। ডিভাইসটিতে আমি মডার্ন কমব্যাট ৫, অ্যাসফাল্ট ৮, বাইক রেসিং ২ সহ বেশ কিছু হাই কোয়ালিটির গেমগুলো হাই গ্রাফিক্স সেটিংস-এ খেলে দেখেছি। ইন্সটল করার পর প্রথমবার কিছু গেমে ল্যাগ দেখা গেলেও পরবর্তীতে গেমগুলো চলেছে স্মুথলি।


(মডার্ন কমব্যাট ৫) 


(অ্যাসফাল্ট 8) 

বেঞ্চমার্ক 

একটি ডিভাইসের পারফর্মেন্স বা ক্ষমতা বিবেচনায় বেঞ্চমার্ককে বেশ গুরুত্ব দেয়া হয়ে থাকে। আর তাই বিভিন্ন জনপ্রিয় বেঞ্চমার্কিং টুলগুলো দিয়ে ডিভাইসটির পারফর্মেন্সও দেখে নেয়া হয়েছে। জনপ্রিয় বেঞ্চমার্কিং টুল আনটুটুতে ডিভাইসটির বেঞ্চমার্ক স্কোর ছিল ৩১৩৩৯। গিকবেঞ্চ ৩-এ সিংগেলকোর এবং মাল্টিকোরের ক্ষেত্রে ডিভাইসটি স্কোর করেছে যথাক্রমে ৬১১ এবং ১৮৬৯। পাশাপাশি নেনামার্ক২-তে এর স্কোর ছিল ৫৬.০ এফপিএস। প্রতিটি ক্ষেত্রেই ডিভাইসটি  বলা চলে মোটামুটি চমৎকার স্কোর করতে সক্ষম হয়েছে।


(আনটুটু বেঞ্চমার্ক) 

(গিকবেঞ্চ ৩) 

(নিনামার্ক ২) 

মাল্টিমিডিয়া 

মিউজিক - স্মার্টফোনটির সাথে গান শোনার জন্য দেয়া আছে ডিফল্ট মিউজিক প্লেয়ার এবং গুগল প্লে মিউজিক অ্যাপ দুটি। স্মার্টফোনটির স্টক হেডফোনটি তেমন একটা সুবিধার না হলেও অন্য হেড-ফোন ব্যবহার করে ডিভাইসটি থেকে চমৎকার আউটপুট পেয়েছি তবে ডিফল্ট মিউজিক প্লেয়ারটিতে গানগুলোর আউটপুটে আমার কাছে বাস কিছুটা বেশি লেগেছে।



ভিডিও - ডিভাইসটিতে ফুল এইচডি (৬০ এফপিএস) ভিডিও প্লে করার পরও কোন রকম ল্যাগ অনুভূত হয়নি।



ব্যাটারি লাইফ 

ডিজাইন এবং বিল্ড কোয়ালিটির পর ডিভাইসটির ব্যাটারি লাইফ আমাকে মুগ্ধ করেছে। সিম্ফোনি এইচ৪০০ ডিভাইসটিতে রয়েছে নন-রিমুভাল ৩২০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার ক্ষমতার ব্যাটারি যা স্বাভাবিক ভাবে ব্যবহার করার পরও ১৫ ঘণ্টার মত ব্যাক-আপ দিতে সক্ষম হয়েছে, এর মধ্যে ৫ ঘণ্টা ৩৬ মিনিটের মত স্ক্রিন অন টাইম ছিল। এই সময়ের মধ্যে ওয়েব ব্রাউজিং ছাড়াও টুক-টাক গেম খেলা হয়েছিল ডিভাইসটিতে। এককথায়, ডিভাইসটির ব্যাটারি লাইফ অসাধারণ! ডিভাইসটিতে ফাস্ট চার্জিং সুবিধা না থাকলেও এর সাথে আপনি পাবেন একটি ১.৫ অ্যাম্পিয়ারের ট্র্যাভেল চার্জার যার ফলে ডিভাইসটির চার্জ হতে খুব বেশি সময় লাগবে না।


স্পেশাল ফিচারস 

  • ফিংগারপ্রিন্ট সেন্সর - ডিভাইসটির মূল আকর্ষণ ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সরটির প্লেসমেন্ট করা হয়েছে খুবই চমৎকারভাবে। স্বাভাবিকভাবে স্মার্টফোন হাতে নেয়ার পরেই খুব সহজেই হাতের তর্জনী আঙ্গুল ঠিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সরের উপরে গিয়েই পড়ে, ফলে এই সেন্সরটি খুব সহজেই  ব্যবহার করা যায়। ডিভাইসটির ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সরের রেসপন্স টাইমও খুব কম এবং অ্যাকুরেট ফলাফল প্রদর্শন করে। 
  • টার্বো ডাউনলোড - এই ফিচারটির সাহায্যে আপনি কোন কিছু ডাউনলোডের সময় একই সাথে ডাটা কানেকশন এবং ওয়াই-ফাই কানেকশন ব্যবহার করতে পারবেন। 



  • ওটিএ - ডিভাইসটি ওটিএ সাপোর্টেড, অর্থাৎ - ডিভাইসটি আপনি কোন রকমের কম্পিউটারের সাহায্য ছাড়াই আপডেট করতে পারবেন। 
  • ভার্চুয়াল রিয়ালিটি সাপোর্ট - ডিভাইসটিতে ভার্চুয়াল রিয়ালিটি সাপোর্ট থাকায় কার্ড বোর্ড ব্যবহার করে আপনি বেশ কিছু ভার্চুয়াল রিয়ালিটি কনটেন্টও উপভোগ করতে পারবেন।  

ভালো দিক এবং মন্দ দিক

সব ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলোতেই একই সাথে কিছু ভালো দিক এবং কিছু খারাপ দিক থেকে থাকে। চলুন, ছোট্ট করে ডিভাইসটির ভালো এবং খারাপ দিকগুলো সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।
ভালো দিক - 

  • চমৎকার ডিজাইন এবং বিল্ড কোয়ালিটি।
  • ২.৫ডি কার্ভড ডিসপ্লে। 
  • ডিসেন্ট ক্যামেরা। 
  • অসাধারণ ব্যাটারি লাইফ। 
  • ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর। 
  • স্টক-লাইক এক্সপেরিয়েন্স। 
খারাপ দিক - 

  • ডিসপ্লেতে কোন প্রটেকশন নেই। 
  • নোটিফিকেশন লাইট নেই। 
  • ওটিজি সুবিধা নেই। 


মূল্য - চমৎকার সব সুবিধা সম্পন্ন ডিভাইসটি মূল্য মাত্র ৯,৯৯০ টাকা।
সিদ্ধান্ত - আপনি যদি ৯,৯৯০ টাকায় চমৎকার একটি প্রিমিয়াম লুকিং স্মার্টফোন ব্যবহার করতে চান যাতে রয়েছে ডিসেন্ট ক্যামেরা ইউনিট এবং ফাস্ট ও অ্যাকুরেট ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর তবে এই ডিভাইসটি আপনার জন্য হতে পারে একটি আদর্শ ডিভাইস। মেনে নিচ্ছি ডিভাইসটির বেশ কিছু ড্র-ব্যাক রয়েছে তবে ডিসপ্লে প্রটেকশন ছাড়া বাকী দিকগুলো আমার কাছে খুব একটা গুরুতর বিষয় বলে মনে হয়নি। এখন বাকিটা আপনার উপরই নির্ভর করছে।

Thanks for reading my news about Hands On Review : SYMPHONY H400 at my blog Mods Firmware if you want too share this article, please put the resource, and if you think this article is very usefully dont forget to bookmark this site with CTRL + D on your keyboard to web browser.

New and Hot Article's :